সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৮

শহিদুলের জামিন শুনানি আগামী সপ্তাহে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিনের আবেদনের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে।

বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে আদালত তা রোববার থেকে কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানায়।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও তানিম হোসেইন।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পরে বলেন, শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে করা আবেদনটি শুনানির জন্য আজ কার্যতালিকায় থাকার কথা ছিল। তা না থাকায় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত বলেছে, আগামী রোববার থেকে আবেদনটি কার্যতালিকায় থাকবে। যে কোনো দিন শুনানি হতে পারে।”

বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে সোমবার হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন শহিদুলের আইনজীবীরা।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত আইসিটি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর মঙ্গলবার হাই কোর্টে ফের জামিন আবেদন করা হয়।

এর আগে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৪ সেপ্টেম্বর এ জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

পরে গত ১০ সেপ্টেম্বর এই বেঞ্চ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শহিদুল আলমের জামিন আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দেয়। যা পরে নাকচ করে দেয় ওই আদালত।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ আগস্ট রাতে পুলিশ দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা’ অপপ্রচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করে পুলিশ।

ঢাকার হাকিম আদালত শহিদুলের জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে তার আইনজীবীরা ১৪ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতে যান। বিচারক আবেদনটি ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য রাখলে তারা শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আরেকটি আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তা গ্রহণ না করলে ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ওই আদালতেই ফের আবেদন করা হয়।

আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ না করায় গত ২৮ আগস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন নিয়ে তার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আসেন। কয়েক দিন আটকে থাকার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চের কার্য তালিকায় আসে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত