সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৪:৪০

ইভিএম ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টিতে ইসির মেলার আয়োজন

ভোটে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও সাধারণ মানুষকে জানাতে দুইদিন ব্যাপী প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলায় ইভিএম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। আর এ মেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ডেমো ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তবে এ জন্য আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে  বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কমিউনিকেশন অফিসার হুসাইন মো. আশিকুর রহমান।

তিনি জানান, ডেমো ভোট দেওয়ার জন্য www.nidw.gov.bd/evm এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর রেজিস্ট্রেশন করা যাবে ৫ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। ইভিএমে ভোট দিতে হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে।

ইভিএম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, কিভাবে এটার ব্যবহার হবে সেটা যদি না জানে, তাহলে তো মানুষের মধ্যে প্রশ্ন থেকেই যাবে। সুতরাং আমাদের প্রয়োজন হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইভিএম কী, কী কী উপকারিতা— সেটা আপনাদের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, যদি আইনগত ভিত্তি পায় তবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে এবং যেই ইভিএম আছে সেটা যদি ব্যবহার উপযোগী হয়, কোনো ত্রুটি না থাকে কেবল তখনই ব্যবহার করা হবে। তবে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের একটা স্বপ্ন আছে। সেটা বাস্তবতার নিরিখে।

সিইসি বলেন, আমি আবারও বলি ইভিএম নিয়ে আমাদের অবস্থান আমরা যতটুকু পারবো, সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হয়ে ততটুকু ব্যবহার করবো। অতিরিক্ত চাপিয়ে দেয়া বা অতিরিক্ত অবস্থানে আমরা যাবো না। এর দায়িত্ব নেবো না।

জানা যায়, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের প্রত্যেকটিতে অন্তত একটি করে ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ইভিএম মেলা আয়োজন সংক্রান্ত এক সভায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ নির্দেশনা দেন।

ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, আগামীতে সকল উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ইভিএমকে জনপ্রিয় করতে ইভিএম মেলায় রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ না জানালেও মেলা সফল করতে ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলের নিজস্ব ১০-১৫ জন লোক হাজির করতে থানা নির্বাচন অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওইসব ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর আগেই ইসির আইটি শাখায় পাঠানো হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ওই কার্যবিবরণীতে ইসি সচিবকে উদ্ধৃত করে উল্লেখ করা হয়েছে— আগামীতে সকল উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং সংসদের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে অন্তত একটি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করলে আমাদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

ওই বৈঠকে সচিব বলেন, বিশ্ব আজ ক্রমাগতভাবে নতুন নতুন তথ্যপ্রযুক্তি গ্রহণ করছে, তাই আমাদেরকে নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে হবে। মানুষ এখন প্রযুক্তি গ্রহণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে, তাই পুরনো ব্যালট পেপার আর ঘানি ব্যাগ থেকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং নির্বাচনী সংস্কৃতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে আমাদেরকে গবেষণা করে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, তিন ধাপে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনার জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত