সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১১:০২

সৌদি নাগরিক হত্যায় মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ঢাকায় সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার (৭ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ মামুনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন। মামুনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আখতার হামিদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের তৎকালীন কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। অপর আসামিদের আল আমিন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মামুন রিভিউ আবেদন করেন।

খালাফকে হত্যার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর আসামি সাইফুল ইসলাম মামুন, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন, আকবর আলী লালু ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচার শেষে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪।

এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রায় দেন হাই কোর্ট। হাই কোর্ট সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন ও আকবর আলী লালুর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

এরপরে ওই বছরের ৪ জুন রাজধানীর দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও আল আমীন নামের তিনজনকে একটি রিভলবারসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা স্বীকার করেন যে, খালাফ ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনজনই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত