ডেস্ক রিপোর্ট

১২ জুলাই, ২০১৫ ২৩:০৭

মৌলভীবাজারে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজার জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর উদ্যোগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। 

সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.কিউ.এম. নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ অন্যান্য বিচারক বৃন্দ, জেল সুপার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর সহ, এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর, এসিস্টেন্ট পাবলিক প্রসিকিউটরবৃন্দ ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মৌলভীবাজার জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলা সমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান সম্পর্কে আলোকপাত শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.কিউ.এম. নাছির উদ্দিন মামলার বিচারকার্য সুষ্ঠু ও দ্রুত গতিতে নিষ্পত্তির জন্য বিচারক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় উপস্থিত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট সকল বক্তাগণ যথাসময়ে সাক্ষী উপস্থাপন সহ বিচারিক কার্যাদি যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের উপর জোর তাগিদ প্রদান করেন।

কনফারেন্সে এ.কিউ.এম. নাছির উদ্দিন আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সম্পন্ন করত প্রতিবেদন দাখিল, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিতকরন, গ্রেফতারের পরে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৪৭৬৮টি গ্রেফতারী পরোয়ানা, ৫৫৩ টি সাজা পরোয়ানা ও ৫৮ টি ক্রোকী পরোয়ানা বিনা জারী অবস্থায় আছে । যার কারনে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হতে বিলম্ব হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেসীতে দ্রুত সমন জারির ব্যবস্থা করা, নকল খানা হতে সল্পতম সময়ে নকল সরবরাহের ব্যবস্থা করা, নিষ্পত্তিকৃত নথি সমূহ দ্রুত রেকর্ডরুমে প্রেরণ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরো বলেন, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ একে অপরের পরিপুরক। এর যে কোন একটি অঙ্গ আইনে নির্ধারিত কর্মপরিধি সম্পন্ন করতে অবহেলা করলে তা সম্পূর্ন বিচার ব্যবস্থায় বিরুপ প্রভাব ফেলে যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। তাই তিনি আইনের শাসন বাস্তবায়ন এবং মানবাধিকার সংরক্ষণ করার জন্য সকল বিভাগের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগীতা বৃদ্ধি ও সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

 

 

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত