সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:২৩

ইয়াবার জন্য আসছে মৃত্যুদণ্ডের বিধান

মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা, পাঁচ গ্রামের বেশি ইয়াবা, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন বা কোকেন উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনের পাশাপাশি সেবন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। সোমবার (৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদের নিয়মিত সভায় এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কারও কাছে ২৫ গ্রামের কম হেরোইন, কোকেন ও কোকা জাতীয় মাদক পাওয়া গেলে তাকে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। আর এসব মাদকের পরিমাণ ২৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যাবে।

এর বাইরে ৪০০ গ্রামের বেশি ইয়াবা বহন, সেবন, বিপণন, মদতদান ও পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত মাদক আইনে। আর ইয়াবার পরিমাণ ২০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হলে ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ইয়াবার পরিমাণ ২০০ গ্রামের কম হলে সর্বনিম্ন একবছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যাবে এই আইন পাস হলে। মাদক বহন-বিপণনে এসব শাস্তির সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে, এ আইনে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ নেই।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব জানান, খসড়া আইন কার্যকর করা হলে মাদকাসক্ত শনাক্তের জন্য ‘ডোপ টেস্ট’ কার্যকর করা সম্ভব হবে। নতুন করে যেকোনো মাদক এলেই তাকে মাদকদ্রব্যের তালিকায় ফেলা যাবে। সব মাদকই এই আইনের আওতায় চলে আসবে।

শফিউল আলম বলেন, সীসা বারের বিষয়েও কোনো আইন নেই। তাই এ সংক্রান্ত বিধান আইনে আনা হয়েছে। সীসার একটি  সংজ্ঞা নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। সীসাসহ বিভিন্ন ভেষজ নির্যাস দশমিক দুই শতাংশের বেশি নিকোটিন এবং এসএস ক্যারামেল দিয়ে তৈরি যেকোনো পদার্থ এর আওতাভুক্ত হবে।

আইনের ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় বলা আছে কেউ যদি বার চালাতে চায় তার লাইসেন্স লাগবে ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত