সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৮ ২৩:৪০

দুই ভাইয়ের দুজনই আপিল বিভাগের বিচারপতি

আপন দুই ভাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সম্পর্কে সহোদর। মঙ্গলবার আপিল বিভাগে তিন বিচারপতির শপথের মাধ্যমে দেশের বিচারিক ইতিহাসে এই নয়া নজির স্থাপন হলো।

আপিল বিভাগে সহোদর এই দুই বিচারপতির বাড়ি কুষ্টিয়ায়। জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে তারা জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পিতা মরহুম আব্দুল গফুর মোল্লা। ২০১৩ সালে ছোট্ট ভাই বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকী আপিল বিভাগের বিচারপতি হলেন।

এক পরিবারের আপন দুই ভাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হওয়াকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাস কক্ষে নতুন বিচারপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আজকে বিচার বিভাগের জন্য স্মরণীয় দিন। সহোদর দুই ভাই বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে লালিত পরিবার থেকে দুই ভাই আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েছেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন বলেন, ‘আপন দুই ভাই একসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়াটা অবশ্যই গর্বের। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এমন অনন্য দৃষ্টান্ত এই প্রথম।’

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী: ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন তিনি। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএ পাশ করেন।

ধানমন্ডি ‘ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বর্তমান আপিল বিভাগের এ বিচারপতি।

বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী: বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ২৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও এলএলবি পাস করে ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮০ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসে মুন্সেফ হিসেবে যোগদান করেন তিনি।

১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৯ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত