সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ অক্টোবর, ২০১৮ ২৩:০৮

রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় তাহেরপুত্র বিপ্লবের মুক্তি

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের পুত্র খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এএইচএম বিপ্লব রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় লক্ষ্মীপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর কারাগারের জেলার মো. শাহ আলম জানান, বিপ্লবকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি মোট ৭ বছর ৬ মাস ২ দিন কারাগারে ছিলেন।

আলোচিত এই সন্ত্রাসী গোপনে কারাগার থেকে বের হয়ে প্রথমে লক্ষ্মীপুরের বাসায় যান। সেখানে সকালের নাশতা সেরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পরে অনুসারীরা খবর পেয়ে বাসার সামনে জড়ো হয়। খবর প্রথম আলোর।

লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার বাবা আবু তাহের বিপ্লবের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার সাজা মওকুফ করেন। ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই মৃত্যুদণ্ডাদেশ মওকুফের আদেশ কার্যকর হয়। ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার মজুপুরের বাসা থেকে নুরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়েছিল।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা এ এস এম মহসিন হত্যা মামলা ও কামাল হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন। এ ছাড়া বিপ্লবের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্র জাহিদ হত্যা মামলা এবং এতিমখানায় অগ্নিসংযোগের মামলা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রত্যাহার করা হয়।

তবে, এ নিয়ে নুরুল ইসলামের পবিবারের কেউ কথা বলতে চাননি। মহসিনের এক আত্মীয় বলেন, ‘আদালত থেকে আমরা ন্যায়বিচার পেলেও তাহেরপুত্রের পক্ষে আছে রাষ্ট্রযন্ত্র। আর আমাদের ভরসা আল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর কারাগারে বন্দি থাকাকালে ফোনে বিয়ে করে সারা দেশে আলোচিত হন বিপ্লব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত