সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৫ ১২:৩১

শবে কদর পালিত

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় মঙ্গলবার রাতে সিলেটসহ সারাদেশে শবে কদর পালিত হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি এবং অধিক সাওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত। শবে কদর উপলক্ষে আজ বুধবার সরকারি ছুটি।

শবে কদর উপলক্ষে গতরাতে সিলেট নগরীসহ বিভাগের মসজিদগুলোতে মিলাদ-মাহফিলসহ বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির আয়োজন করা হয়। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

মাগরিবের পরপরই মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা সমবেত হন। এশার নামাজের আগে মসজিদগুলো ভরে যায়। এ সময় শবে কদরের তাৎপর্য ও ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এশার নামাজ জামাতে আদায়ের পর সবাই নফল নামাজসহ নানা ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হন। ফজরের নামাজ পর্যন্ত চলে এসব ইবাদতপর্ব। ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় ও আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে ঘরে ফেরেন অনেকে।

কদরের রাত বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। শবে কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যাদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন।

পবিত্র কুরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী করীম (সাঃ) এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তাঁর সাহাবীদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন।

রমজান মাসের ২১ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই শবে কদর। তবে ২৭ রমজান অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত