সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৫

ভিডিও দেখে হামলাকারীদের ধরা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রাণহানি ঘটিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আজকের এই ঘটনা (সংঘর্ষ) স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, তারা প্ল্যান করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেছে। গাড়ি পোড়ানোর যে আনন্দ-উৎসব আপনারা দেখেছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশজুড়ে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচাল করতেই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এই হামলা চালানো হয়েছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

হামলার ঘটনায় অবশ্যই মামলা করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যদের অনেকেই মাথা, পা ও পেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। গুরুতর আঘাত না হলেও, এর চেয়ে বেশি কিছু হলে প্রাণহানিও ঘটতে পারত। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল প্রাণহানি ঘটিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করা।

গত দুইদিন উৎসবমুখর পরিস্থিতিতে মনোনয়নপত্র কেনা-বেচা হচ্ছিল, আজ কেন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল কিংবা অন্য কোনো অশুভ চিন্তা তাদের থাকতে পারে। সারাদেশে নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল, যারা নির্বাচন চায় তারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। নিশ্চয়ই এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।

হামলায় পুলিশের ২৩ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৫ জন সিনিয়র পুলিশ অফিসার ও ২ জন আনসার সদস্য। এ সময় পুলিশের ২টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আরেকটি এপিসি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে, করা হয় লাঠিচার্জও। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত