নিউজ ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০১৫ ১৩:৩৮

শোলাকিয়ায় একসাথে নামাজ আদায় করলেন ৩ লাখ মুসল্লি

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের ১৮৮তম সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে । মুসল্লিরা ভোর থেকেই দলে দলে ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ মাঠে এসে কাতারবন্দি হন।

শনিবার সকাল ১০টায় জামাত শুরু হয়। জামাত শুরুর আগে ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

জামাতে ইমামতি করেন উলামা মাসায়েখ সংহতি পরিষদ ও ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

ঈদগাহে নিরাপত্তার জন্য বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহ সংলগ্ন সড়কে নির্মাণ করা হয় বেশ কয়েকটি তোড়ণ ।

এ মাঠে নামাজ আদায় করলে দোয়া কবুল হয়, প্রচুর সোয়াব পাওয়া যায়-এ বিশ্বাস থেকেই প্রতিবছর মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। ২৭ রমজানের পর থেকেই দূর দূরান্তের মুসল্লিরা মাঠের মিম্বর, আত্মীয় স্বজনের বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নেয়। সকাল ৯টার আগেই ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়।

এরপরও মুসল্লিরা আসতে থাকেন। অনেকেই জায়গা না পেয়ে পাশের রাস্তা ও খালি জায়গায় নামাজ পড়েন। তিন লক্ষাধিক মুসল্লি এ মাঠে নামাজ আদায় করেছেন বলে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথম বড় জামায়াতে সোয়ালাখ মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সেই থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়ালাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামের উৎপত্তি।

ঈদ উপলক্ষে তিনটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। মুসল্লিরা ট্রেন ছাড়াও মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্নভাবে ঈদগাহে আসেন। জামাত শেষে মোনাজাতে দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করেন শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত