সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৯

দায়িত্বশীলদের ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে: ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন কায়দায় ভোটদানে বাধা দেওয়া হলে তা স্বাধীনতাবিরোধী কাজ হবে। এটা সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কেবল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে পাহারা দিলে হবে না, দায়িত্বশীল সবাইকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।

সোমবার বেলা ৩টায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পাবলিক পলিসি’ নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, পিঠা ভাগ করতে গেলেও টানাটানি করতে হয়। এটা একটা চ্যালেঞ্জের কাজ। আমি নিজেও ভাবতে পারিনি, এত দ্রুত এই জোট গঠন করা যাবে। যে কোনো জায়গায় কিছু ভাগ করতে গেলে কাড়াকাড়ি হবে। ভাগ করা মানেই কেউ পাবে কেউ পাবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ চিঠি দিয়েছে। আজকে বিএনপি শুরু করেছে। আমাদেরও আলোচনা শুরু হয়েছে। আশা করি আমরাও কালকের মধ্যে দিয়ে দেব। কাল না হলে পরশুর মধ্যে দিতেই হবে। কাজগুলো কঠিন, কিন্তু এগিয়ে নিতে হবে।

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমেদের ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে অভিযোগ করা হয়, ঐক্যফ্রন্ট ব্ল্যাকমেইল করছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, এসব ভাষা ব্যবহার করা আমাদের কালচার হয়ে গেছে। গণতন্ত্রকে লালন করতে হলে সবার উচিত ভাষার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা, ভদ্রভাবে কথা বলা।

ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে বলে কামাল হোসেন গৃহযুদ্ধের কথা বলছেন- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষনেতা বলেন, ভোট পাহারা দেওয়া কি গৃহযুদ্ধ? ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার সঙ্গে গৃহযুদ্ধের কী সম্পর্ক? আমার বুদ্ধিতে কুলোয় না।

তিনি বলেন, রাজনীতি আর ব্যবসা এক জিনিস নয়। বঙ্গবন্ধুকে অনেকবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি রাজনীতি করেননি। মাথা কেনা সম্ভব হলে একাত্তরে স্বাধীনতা কোনো দিন সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধুর একটি কথা ছিল, গরু-ছাগলের মাথা কেনা যায়, মানুষের মাথা কেনা যায় না।

সভায় গণফোরামে সদ্য যোগ দেওয়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মূল লক্ষ্য হবে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সাধারণ মানুষের পরামর্শ চেয়ে তিনি বলেন, আমি একটি ফরম্যাট তৈরি করেছি যেখানে যে কেউ নিজেদের আইডিয়া গণফোরামকে দিতে পারবেন। দেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মানুষের এই আইডিয়া ব্যবহার করা হবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত