সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:২৬

অরিত্রীর আত্মহত্যা: কারাগারে হাসনা হেনা

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দেওয়ার মামলার আসামি হাসনা হেনা।

বুধবার রাত ১১টার দিকে উত্তরা থেকে অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে নেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার হাসনা হেনাকে আদালতে হাজির করে তাকে জামিন না দেওয়ার আবেদন করেন।

আদালতকে তিনি প্রতিবেদন দিয়ে বলেছেন, অরিত্রীর বাবার সুস্পষ্ট ধারণা যে, শিক্ষকদের আচরণের কারণে অরিত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পালিয়ে থেকে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন।

অন্যদিকে হাসনা হেনার আইনজীবীরা তার জামিন চান। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ডিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, ভিকারুননিসার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আখতার আজকের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে বুধবার বরখাস্ত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে—এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে তার বাবা দিলীপ অধিকারীর দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত