সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:১৩

সন্তান ‘হত্যা’ মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে বাবা

রাজধানীর বাংলামোটরে সাফায়েত নামের দুই বছর বয়সী শিশুকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান কাজলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে তুলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দিমান মণ্ডল তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সাফায়েতকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা নুরুজ্জামান কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় শিশুটির মা মালিহা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

শুনানির আগে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এম এ সাত্তার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।

আবদনের শুনানিতে তিনি দাবি করেন, যিনি মামলার দায়ের করেছেন (নিহতের মা এবং আসামির স্ত্রী) তিনি চার মাস আগে দুই বাচ্চাকে ফেলে রেখে চলে যান। তাকে ফিরে আসার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তারপরও তিনি ফিরে আসেননি। এখন এসে মামলা করেছেন। যাওয়ার সময় তিনি বাচ্চাদের নিয়ে যাননি। ঘটনার দিন কাজল তার বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয়টি ইমামকে দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়ান। এরপর ইমাম বাসায় এসে কোরআন শরীফ পড়ান। আসামির বাচ্চা মারা যাওয়ায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

অ্যাডভোকেট এমএ সাত্তার আরও দাবি করেন, তাছাড়া মগবাজারে বাবার বাড়ি লিখে দেওয়া নিয়ে আসামির সঙ্গে স্ত্রী, তার ভাই-বোনের সঙ্গে ঝামেলা চলছে। সবকিছু মিলিয়ে আসামি অসুস্থ। তার চিকিৎসা দরকার। আর তিনি যদি হত্যা করেন তাহলে বিচার হবে। তার আগে চিকিৎসা দরকার। তিনি জীবিত থাকলে তার বিচার হবে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আগামী ৫ দিনের মধ্যে তা কার্যকরের আদেশ দেন।

এদিকে রিমান্ড শুনানির আগে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আসামি দাবি করেন, তার বাচ্চার জ্বর ছিল। চার দিনের জ্বরে ঘুমের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকার একটি বাসায় শিশু সাফায়েতের লাশ নিয়ে বাবা ঘর বন্ধ করে বসে আছে সংবাদ পেয়ে ছুটে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু তিনি কাউকে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। জীবিত সন্তানকে বুকে নিয়ে এবং অপর সন্তানের লাশ টেবিলের উপর রেখে পাশে রামদা নিয়ে বসে ছিলেন। অবশেষে ৬ ঘণ্টা পর ঘরে প্রবেশ করে লাশ এবং অপর এক সন্তান উদ্ধার হয়। সঙ্গে বাবাকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় কাজলের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় তার স্ত্রী মালিহা আক্তার হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত