সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:৫০

নোয়াখালীর ‘গণধর্ষণের’ ঘটনা তদন্ত করবে মানবাধিকার কমিশন

নোয়াখালীতে এক নারীকে গণধর্ষণের বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, নোয়াখালীতে ভোটের পরে বিরোধী পক্ষকে ভোট দেওয়ার কারণে যে নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, গণমাধ্যমের মাধ্যমে তা আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের বাগ্যা গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে। হতাহতের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় ভোটও বেশি পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোট-পরবর্তী সময়ে নিহতের কোনো খবর আমরা পাইনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে ১৪ জন নিহত হওয়ার সংবাদ জেনেছি। শতাধিক লোক আহত হয়েছে, সেটিও জেনেছি। তবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ভোটের আগে কিছু অভিযোগ ছিল। এর পরও কেউ নির্বাচন থেকে দূরে সরে যায়নি। ফলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। ফলে ২২ নারী সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন। ৮০ শতাংশ ভোটগ্রহণ থেকে বোঝা যায়, অন্য যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকবার দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। এতে সহিংসতা অনেক কমে আসে। সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, যা অতীতে হয়নি। ১৯৯১ সাল থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সহিংসতার মাত্রা ছিল অনেক বেশি। সেই তুলনায় এবার তেমনটা শোনা যায়নি।

ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকার অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরেছি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ছিল না। ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না এমনটা দেখিনি। দু-একটি কেন্দ্রে এজেন্ট না থাকলেও বাকি সব কেন্দ্রে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট দেখতে পেয়েছি।

নির্বাচনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে ভোটের নজিরহীন ব্যবধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের ব্যবধান এত বেশি কেন হলো, এটা নিয়ে একটা গবেষণা হতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সচেষ্ট থাকায় সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মতামত প্রকাশ করতে পেরেছে। অতীতের কোনো নির্বাচনে এত সংখ্যালঘু ভোটকেন্দ্রে যায়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত