সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৫:৪৯

শপথ নেননি সৈয়দ আশরাফ

ফাইল ছবি

শপথ নেননি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি দিয়েছেন।

বুধবার (২ জানুয়ারি) স্পিকারের দপ্তরে সৈয়দ আশরাফের ওই চিঠি পৌঁছে।

জানতে চাইলে শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, উনার চিঠি পেয়েছি। উনি দেশে ফিরে আসার পর শপথ নিতে চান। আর এমনিতেই ৯০ দিন সময় উনি পাবেন।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ এখন থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থতার কারণে ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।

দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১ জানুয়ারি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী তিনদিনের মধ্যে নির্বাচিতদের বৃহস্পতিবার শপথের আয়োজন করে সংসদ সচিবালয়। সেই অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে বা স্পিকারকে অবহিত না করলে সদস্য পদ খারিজ হবে।

দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে ২৫৭টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দুই মেয়াদে ওই দায়িত্ব পালনের পর এখন তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

জাতীয় চার নেতা ১৯৭৫ সালে কারাগারে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যে চলে যান আশরাফ। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জের এই আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের অন্যতম আশরাফ।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গেল মাসে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সময় আশরাফের আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ওপরই আস্থা রাখেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত