সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ২০:২৭

আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছে পুলিশ। আসামিপক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে বন্দর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আতিকুর রহমানের (২২) বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। নারায়ণগঞ্জের মদনপুরের চানপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। এছাড়া আহত লোকজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমানের সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিক নেতা আমির হোসেনের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ১৮ নভেম্বর খলিলকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে আমিরের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে খলিলের সমর্থকরা। ওই ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। পুলিশ শনিবার রাতে ওই মামলার আসামিদের ধরতে চাঁনপুর এলাকায় গিয়ে হামলার মুখে পড়ে।

জানা গেছে, পুলিশ খলিলের সমর্থক দিপু ও সুজনকে আটক করলে তাদের সহযোগী ও এলাকার লোকজন টেঁটা, বল্লম ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দিপু ও সুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, কনস্টেল মনোয়ার, মোহনসহ ১৫ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রিফাত ও নুরনবী নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাহরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মামলার দুই আসামিকে ধরতে গেলে আসামি ও এলাকার লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ১৫টি গুলি ছোড়ে। পুলিশ এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত