সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৮:০৫

মির্জা ফখরুলের পদত্যাগ করা উচিত: কাদের

আন্দোলন ও নির্বাচনের ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে ‘প্রহসন’ ও ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

ফখরুল ইসলামের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেপরোয়া গাড়িচালক। কখন যে অ্যাকসিডেন্ট করে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ‘যে মহাসচিব ১০ বছরে ১০ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেননি, নির্বাচনে ১০টিও আসন পাননি, আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ, লজ্জা থাকলে তার (ফখরুল ইসলাম) পদত্যাগ করা উচিত।’

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন? কোন দোষে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ ভালো লাগছে না? ভালো তো লাগবেই না। এই অভূতপূর্ব ফলাফল পঁচাত্তর–পরবর্তী এই গণজাগরণ বাংলাদেশে কেউ আর কখনো দেখেনি।’

তিনি বলেন, ‘লজ্জা-শরম নেই তো, পদত্যাগও করবে না। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে? মির্জা সাহেব, আপনি যে জিতলেন, কারচুপি হলে সেখানে আপনি কেমন করে জিতলেন? এটার জবাব দিন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের এ অভূতপূর্ব বিজয় যারা প্রত্যাখ্যান করছে, তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, নির্বাচনের দিন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের কোনো এজেন্ট কি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবাদ করেছে?

নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক কাদের।

তিনি বলেন, টিআইবি গল্প অলীক গল্প সাজাচ্ছে। অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী সাজাচ্ছে যে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি।

টিআইবির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আপনাদের অথবা প্রতিপক্ষের কোনো প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন কোনো কেন্দ্রে কি চ্যালেঞ্জ করেছে? একজন এজেন্ট প্রতিবাদ করেছে?’ টিআইবির কোনো প্রতিনিধি কি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করেছে? স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে? না বললে এত দিন পরে?’ তিনি আরও বলেন, ‘তখন বলেননি, তখন বলার কোনো কারণ খুঁজে পাননি। এত দিন পরে এই অলীক, অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী কেন সাজাচ্ছেন, আমরা তা জানি। এর রহস্য আমরা জানি। এর জবাব বাংলাদেশের জনগণই দেবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত