সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৯ ১৫:৪০

সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদের

গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে রওয়ানা দিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল সোয়া ৪টায় চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরকে নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

দুপুরে ভারতের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন দেবী প্রসাদ শেঠি ঢাকায় এসে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর তার সঙ্গে কথা বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানান।

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বিএসএমএমইউয়ে সংবাদ সম্মেলনে কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘ভারতের নামকরা হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ওবায়দুল কাদেরকে দেখেছেন। সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেবী শেঠি বলেছেন, আপনারা যে চিকিৎসা দিয়েছেন, চমৎকার চিকিৎসা হয়েছে। ইউরোপ–আমেরিকা হলেও একই চিকিৎসা হতো। এই রোগে এর বেশি কিছু করা সম্ভব না। ওনার অবস্থা কালকের চেয়ে মোটামুটি ভালো। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। কালকের চেয়ে অবস্থা ভালো হওয়ার কারণে তাঁকে আজ শিফট করা যেতে পারে। কারণ, এর চেয়ে অবস্থা খারাপ হলে তখন আর শিফট করা যাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সৈয়দ আলী আহসান (কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান) বলেন, আজকে সকাল নয়টার পর থেকে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। প্রেশার ১১০ থেকে ৭০ হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ১২০-১৩০ হচ্ছে। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্সের যে বিষয়টি ছিল, সেটাও এখন নরমাল। তার হাই ব্লাড সুগার ছিল, সেটাও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি নড়াচড়া করছেন। এবং ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়ার জন্য ইশারা করছেন। একটু কষ্ট হচ্ছে, সেই বিবেচনায় তাঁকে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও ভেন্টিলেটর খুলতে সময় লাগবে।

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক জটিলতার বিষয়ে ও তিনি ঝুঁকিমুক্ত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, তার ডায়াবেটিক অনিয়মিত পরীক্ষা করা হতো। আগেও হার্ট অ্যাটাক করেছিল। এরপর ঠিকভাবে শরীর চেকআপ করা হয়নি। তাঁর রক্তে ইনফেকশনের ব্যাপার আছে। সেটাও বেড়ে গেছে। তাকে শিফট করার এখনই ভালো সময়।

প্রসঙ্গত, রোববার ভোরে হঠাৎ শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। এরপর তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এনজিওগ্রাম করার পর তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।

ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে রোববার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর থেকে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসেন। ওবায়দুল কাদেরকে দেখার পর দুই দেশের চিকিৎসকেরা জানান, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত