সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৯ ২১:০৮

সুবর্ণচরে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে নারীর আত্মহত্যার ঘটনায় রিট

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ধর্ষণের বিচার না পেয়ে এক নারীর আত্মহত্যার ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে ওই ঘটনায় ইউপি সদস্যের তথাকথিত সালিশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ)  হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন হাই কোর্টের আইনজীবী মুনতাসির মাহমুদ রহমান।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারি এ আইনজীবী।

‘সুবর্ণচরে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ আইনজীবী হাই কোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, সুবর্ণচরের ওসি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিবাদী করা হয়েছে।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এবার ধর্ষণের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমাকছুমুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে মাকছুমুল গ্রামে বসত ঘরে ঢুকে গৃহবধূ পলি আক্তারকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আলাউদ্দিন। পলির চিৎকারে তার স্বামী ও পাড়া প্রতিবেশীরা এসে আলাউদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ধর্ষক আলাউদ্দিনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। বখাটে আলাউদ্দিন একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

এদিকে ধর্ষণের সঠিক বিচার না পেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে শনিবার সকাল ৮টার দিকে বিষ পান করেন গৃহবধূ পলি। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত