সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ মার্চ, ২০১৯ ১৬:০৯

নতুন করে ডাকসুতে ভোটের সুযোগ নেই: ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবির বিষয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘এখন কারোর দাবির প্রেক্ষিতে আবার নতুন করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া আইন সমর্থন করে না।’

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

উপাচার্য বলেন, 'সফল নির্বাচন করেছি। যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই নির্বাচন হয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফ করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফ করবেন না।

ভোট চলাকালে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ব্যালট এবং রোকেয়া হলে ট্রাংক ভর্তি ব্যালট পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামাদ মঙ্গলবার নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দুটি হলের একটিতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে অপর একটি হলে (রোকেয়া হলে) যা হয়েছে, সেটি ছিল হাঙ্গামা। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।

ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তদন্তে মুহাম্মদ সামাদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিনি বলেন, এই তদন্ত দল ‘অল্প কিছু দিনের মধ্যে’ তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগ ছাড়া বামজোটসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবার ধর্মঘট এবং ক্লাস বর্জনের ডাক দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। তিনি ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট। সোমবার দিবাগত রাতে এ ফল ঘোষণা করেন ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়।

নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৩ জন।

এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত