সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মার্চ, ২০১৯ ১১:২৪

ডাকসুতে কে কত ভোট পেলেন

সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। ভিপি পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক নূর।

তার চেয়ে ১ হাজার ৯৩৩ ভোট কম পেয়ে হেরেছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

ভোটের হিসাবে ভিপি পদে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র জোট প্যানেলের প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান। ২ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী ১ হাজার ২১৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন তিনি। ২১ জন ভিপি প্রার্থীর মধ্যে এদের বাদে একশ’র বেশি ভোট পেয়েছেন মাত্র একজন, তিনি হলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের এস এম আতায়ে রাব্বী (১১২ ভোট)।

ভিপি প্রার্থীদের মধ্যে ছাত্র মৈত্রীর রাসেল সেখ পেয়েছেন ২২ ভোট, জাসদ ছাত্রলীগের রাকিবুল ইসলাম তুষার ২৪ ভোট, বাংলাদেশ জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ-বিসিএলের নাইম হাসান ৩৯ ভোট পেয়েছেন। সবচেয়ে কম ৭ ভোট পেয়েছেন জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রার্থী নকিবুল হাসান।

জিএস পদে বিজয়ী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ৪২১ ভোট। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের রাশেদ খান ৬ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের প্রার্থী সাংবাদিক সমিতির নেতা আসিফুর রহমান ত্বাসীন ৪ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়েছেন। তাদের প্যানেলে ভিপি প্রার্থী ছিল না। অরণি সেমন্তি নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র জোটের শাফী আবদুল্লাহ ১ হাজার ৫১২ ভোট পেয়ে জিএস প্রার্থীদের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।

ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজির পেয়েছেন ৬০৬ ভোট। বেনজিরের পরিবর্তে বাম জোট যাকে প্রার্থী করেছিল, সেই ফয়সাল মাহমুদ সুমন পেয়েছেন ২৪৭ ভোট। জিএস পদে ছাত্রদলের আনিসুর রহমান রহমান অনিক পেয়েছেন ৪৬২ ভোট।

ছাত্র মৈত্রীর সনম সিদ্দিকী শিতি ৪৬ ভোট, জাসদ ছাত্রলীগের শাফিকা রহমান শৈলী ৯৫ ভোট, বাংলাদেশ জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশে ছাত্রলীগ-বিসিএলের শাহরিয়ার রহমান বিজয় ৪৪ ভোট পেয়েছেন।

১৪ জন জিএস প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম ৩০০ ভোট পেয়েছেন জালাল আহমেদ। তিনি এক সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে থাকলেও নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন।

এজিএস পদে জয়ী ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ডাকসুতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ৩০১টি। এই পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৯ হাজার ৪০৫।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ফারুক হোসেন ৫ হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। স্বতন্ত্র জোটের অমিত প্রামানিক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ ভোট। তিনি আছেন তৃতীয় অবস্থানে। স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের আবু রায়হান খান ৬২৯ ভোট পেয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে।

তার পরে রয়েছেন ছাত্রদলের খোরশেদ আলম সোহেল ২৯৪ ভোট পেয়ে। বাম জোটের প্রার্থী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাদেকুল ইসলাম সাদিক পেয়েছেন ২৮৪ ভোট। মুক্তিজোটের অনুপ রায় পেয়েছেন ২৫১ ভোট। ছাত্র মৈত্রীর রহমত উল্লাহ ৪৩ ভোট, জাসদ ছাত্রলীগের জহুরুল ইসলাম ৬২ ভোট, ছাত্রলীগ-বিসিএলের আশরাফুল আলম ফাহিম ৯৬ ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন শাহিদুল ইসলাম, তার ভোট সংখ্যা ২৩।

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের প্রার্থী সাদ বিন কাদের (১২১৮৭ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (৩৯৯১ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের শ্রবণা শফিক দীপ্তি (৩৯৪২ ভোট)।

চতুর্থ- বাম জোটের রাজীব কান্তি রায় (৭৬১ ভোট)

ছাত্রদলের জাফরুল হাসান নাদিম পেয়েছেন ৩০০ ভোট।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের আরিফ ইবনে আলী (৯১৫৪ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের মশিউর রহমান (৬৩২৩ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের চয়ন বড়ুয়া (৪০১৫ ভোট)।

চতুর্থ- মাহমুদুল হাসান (৭৪৮ ভোট)।

বাম জোটের উলুল আমর তালুকদার পেয়েছেন ৫২৪ ভোট।

কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের বিএম লিপি আক্তার (৮৫২৪ ভোট।

নিকটতম- ছাত্রদলের কানেতা ইয়া লাম-লাম (৭১১৯ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের ওমর ফারুক (৩২৬৩ ভোট)।

আন্তর্জাতিক সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের শাহরিমা তানজিনা অর্নি (১০৬০৪ ভোট)

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের হাবীবুল্লাহ বেলালী (৪৩৬৭ ভোট)।

তৃতীয়- বাম জোটের মীম আরাফাত মানব (১৯৫৫ ভোট)।

সাহিত্য সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের মাজহারুল কবির শয়ন (১০৭০০ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আকরাম হুসাইন (৫০১৮ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের আবু আবু রায়হান খান সানন (৩০৩৫ ভোট)।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের আসিফ তালুকদার (১০৭৯৯ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের নাহিদ ইসলাম (৩৫৮৪ ভোট)

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের ফরহাদ হোসেন (২২৪২ ভোট)।

ক্রীড়া সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের শাকিল আহমেদ তানভীর (৯০৪৭ ভোট)।

দ্বিতীয়- স্বতন্ত্র জোটের খালেদ মাহমুদ আকাশ (৩৮৩৪ ভোট)।

তৃতীয়- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের মামুনুর রশীদ (৩১৭১ ভোট)।

ছাত্র পরিবহন সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের শামস ই নোমান (১২১৬৩ ভোট)।

নিকটতম- স্বতন্ত্র জোটের তাওহিদ তানজিম (২৮৪৫ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরকৃষ্ণ চাকমা (২৬২৬ ভোট)।

সমাজসেবা সম্পাদক

বিজয়ী- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আখতার হোসেন (৯১৯০ ভোট)।

নিকটতম- ছাত্রলীগের আজিজুল হক (৮০৮১ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের রহিসউজ্জামান (১৪০৩ ভোট)।

সদস্য

চিবল সাংমা (১২৮৬৮), নজরুল ইসলাম (৮৫০৯), রাকিবুল হাসান (৮৬৭৩), রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য (১১২৩২), তানভীর হাসান সৈকত (১০৮০৫), রাইসা নাসের, সাবরিনা ইতি (৯৭৬৮), রফিকুল ইসলাম সবুজ (৬৫১৭), ফরিদা পারভীন ৮৪৬৯), নিপু ইসলাম তন্বী (১০৩৯৩), সাইফুল ইসলাম রাসেল (৭৮১২), তিলোত্তমা শিকদার (১০৪৬৬), জুলফিকার আলম রাসেল (৭৮১২) ও মাহমুদুল হাসান (৭৯৭৮)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত