সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ মার্চ, ২০১৯ ১৪:১২

বিমান ছিনতাইচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি ‘খেলনা পিস্তল’: সিআইডি

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি ‘খেলনা পিস্তল’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ।

বুধবার (১৩ মার্চ) সিআইডি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া জানান, বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত জব্দ করা অস্ত্রটি পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছিল। সিআইডি সেটির ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে মতামত দেয়, ‘একটি প্লাস্টিকের তৈরি অকেজো খেলনা পিস্তল’।

অবশ্য বিমান ছিনতাইচেষ্টার পরপরই ঘটনার দিন রাতে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ছিনতাইকারীর হাতে অস্ত্র ছিল। উড়োজাহাজের ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। এর দুই ঘণ্টা পর বলা হয়, অস্ত্রটি খেলনা পিস্তল।

পরদিন বিমান প্রতিমন্ত্রী সংসদে জানান, অস্ত্রধারী যুবক বিমানের ভেতরে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।

এদিকে ময়ূরপঙ্খীর ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদন বুধবারই জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে গঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের কমিটি প্রতিবেদনটি জমা দেয়।

আগামী সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবেদনের বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে ওড়ার ১৫ মিনিট পর উড়োজাহাজটি 'ছিনতাইকারীর' কবলে পড়ে। পাইলট বিষয়টি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানালে কড়া নিরাপত্তায় বিমানটি ৫টা ৪১ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের জরুরি দরজা দিয়ে বের করে আনা হয়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে খেলনা পিস্তলধারী যুবক নিহত হন এবং ছিনতাইচেষ্টার অবসান হয়। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম পলাশ আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত