সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৩:০৯

রাসেলের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিকেলে জানাতে বলেছে হাই কোর্ট

বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারের ব্যাপারে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা আজ বুধবার বিকেল ৩টার মধ্যে জানাতে বলেছেন হাই কোর্ট। ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানাতে বলেছেন হাই কোর্ট।

আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাসেলকে ৫০ লাখ দিতে বুধবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ। টাকা না দিলে গ্রিন লাইনের সব বাস জব্দ করা হবে বলেও মালিকপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল।

আদালতে গ্রিন লাইন পরিবহনের আইনজীবী ওয়াজিউল্লাহ রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ দিতে এক মাস সময় চাই। এ সময় আদালত বলেন, রাসেল সরকার একজন চালক। তাকে তো কিছু দিলেন না। কিছু দিয়েছেন কি না, এর অগ্রগতি বিকেল ৩টার মধ্যে ওই আইনজীবীকে আদালতে জানাতে বলেছেন।

রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম বলেন, রাসেল আহমেদকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না বিকেলে ৩টায় হাই কোর্টকে জানাতে বলেছেন বেঞ্চের বিচারপতিরা। এর পরে আদালত আদেশ দেবেন।

বুধবার বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকার ও গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে রাসেল সরকার জানিয়েছিলেন, গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী উম্মে কুলসুমের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাই কোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তার পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর অগ্রগতি হলফনামা আকারে ৩১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়।

তবে হাই কোর্টের ১২ মার্চের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহন আপিল বিভাগ আবেদন করে, যা ৩১ মার্চ খারিজ হয়। ফলে হাই কোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এরপর সেদিন হাই কোর্ট ইতিপূর্বে দেওয়া আদেশ ৩ এপ্রিলের মধ্যে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়ন করতে বলে আদেশের জন্য ৪ এপ্রিল দিন রাখেন।

ধার্য তারিখে গ্রিন লাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আদালতে হাজির হয়ে জানান, গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন, ৯ এপ্রিল ফিরবেন। এরপর হাই কোর্ট ১০ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। শুনানিকালে সেদিন গ্রিন লাইনের আইনজীবী ও মহাব্যবস্থাপকের উদ্দেশে আদালত বলেন, ১০ এপ্রিল আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা দেবেন। টাকা না দিতে পারলে ১১ তারিখের টিকিট বিক্রি করবেন না। অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলবেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত