সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৩৫

বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কেউ যেন অবৈধ সুবিধা নিতে না পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কেউ যেন ব্যবসা বা ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে বঙ্গবন্ধু প্রেমিকদের কাছে অনুরোধ করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন । তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।’

শুক্রবার ঢাকায় জাতীয়  গণগ্রন্থাগারের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘বর্তমান সরকার মুজিবনগর সরকারের ধারাবাহিক সরকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ড. মোমেন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর শত্রুকেও সম্মান দিতেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সবাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অন্যকে সম্মান করবে। স্বাধীনতার চেতনা হলো সেই চেতনা যেখানে আমরা সহমর্মিতা সৃষ্টি করব। তিনি বলেন, আমরা যে পথে হাঁটছি, সে পথে হাঁটলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৈশিষ্ট্য। একটি হলো ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম এবং অপরটি হলো স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সংগ্রাম ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।

ড. মোমেন বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাল কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘জেলখানার রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটি প্রকাশ করা। তিনি বলেন, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ওপর গেয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট গুলোও দুটি পর্বে প্রকাশ করা হয়েছে। এ বইগুলো পড়ার জন্য সকলকে তিনি অনুরোধ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থাপিত গণহত্যা কর্নারে এই বইগুলো পাওয়া যাবে এবং সকলে সেখান থেকে বইগুলো সকলে পড়তে পারবে বলেও ড. মোমেন উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ  থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করবে।  তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করব। বিদেশস্থ বাংলাদেশের সব মিশনকে এ বিষয়ে  ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো এ দু’বছর  জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জানা, বাংলাদেশকে জানা, বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য বিভিন্নভাবে সভা, সমিতি, ওয়ার্কশপ, কনসার্ট ও লেখালেখির মাধ্যমে জনগণকে জানানো। কারণ, বঙ্গবন্ধু এদেশে সৃষ্টি হয়েছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অধিকারী হয়েছি। এদেশে সৃষ্টি হয়েছে সম্ভাবনাময় অর্থনীতির। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ধীশক্তি ও তাঁরই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। সম্প্রতি তঁরই ওরসজাত কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে আমাদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, দেশবাসীর স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ অর্থনীতি গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের সহায়তায় আমরা অবশ্যই আমাদের স্বপ্ন আমরা অর্জন করতে পারব এবং সম্মানিত জাতি হিসেবে বিশ্বে টিকে থাকব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বক্তৃতা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত