সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মে, ২০১৯ ২০:০২

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত উপকূলীয় জেলার প্রশাসন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় 'ফণি' মোকাবেলা ও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট উপকূলীয় অঞ্চলের জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিরাপদ ভবন নির্মাণ বিষয়ে মন্ত্রীসভা গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় জেলার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে অভ্যস্ত। এ কারণে ঘূর্ণিঝড় 'ফণি' সম্পর্কে তারা সচেতন রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রশাসন কাজ করবে।

তিনি বলেন, ফণির প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজন হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে নামতে পারবেন। জেলা পুলিশ বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'ফণি' শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা ও তৎসংলগ্ন জেলার পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে। সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় 'ফণি' আঘাত হানার আশঙ্কায় মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত