সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ মে, ২০১৯ ১৭:৩১

বিএনপি শপথ নিয়ে প্রমাণ করল আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল: মোকাব্বির খান

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেওয়ার দলে তোপের মুখে পড়েছিলেন গণফোরাম নেতা ও সিলেট-২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান। বিএনপিও তিরস্কার করেছিলো তাকে। শপথ নেওয়ার পর সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে এসে বিএনপি নেতাদের হাতে লাঞ্ছিতও হতে হয় প্রথমাবেরর মতো সাংসদ হওয়া মোকাব্বিরকে।

তবে এবার বিএনপির সাংসদরাই শপথ নেওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এবার গণফোরামও কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করে মোকাব্বিরকে কাছে টেনে নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমি তো গণফোরামেই আছি। দলের বাইরে থাকার সুযোগ নেই, প্রশ্নও উঠে না’।

তিনি আরও বলেন, গণফোরামের প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছি। জনগণের কথা ভেবেই সংসদে যোগ দিয়েছি। আমার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির সদস্যদের শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে। তাই এখন আর পেছনের বিষয় নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। সংসদে আমরা কিভাবে জনগণের পক্ষে ভূমিকা পালন করব- এ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।

এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, কথা ছিল কেউ শপথ নেবেন না। কিন্তু প্রথমে আমাদের দলের দু’জন, শেষ মুহূর্তে বিএনপির পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য শপথ নেন। বিএনপির সদস্যদের শপথ নেয়ায় স্বভাবতই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এ অবস্থায় আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তাদের ফেরত নেব।

দল ও জোটের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেয়ার কারণে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদকে ৭ মার্চই বহিষ্কার করে গণফোরাম। অন্যদিকে একই অপরাধে মোকাব্বির খানকে ২৪ এপ্রিল শোকজ করে দলটি।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ছয়জন জয়ী হন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন গণফোরামের দু’জন। নির্বাচনের পরপরই ভোটে ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি তারা শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন। তাকে অনুসরণ করে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান শপথ নেন ২ এপ্রিল।

এ দু’জনকে অনুসরণ করে ২৫ এপ্রিল শপথ নেন বিএনপির মো. জাহিদুর রহমান। শপথ গ্রহণের সময়সীমার শেষ দিনে এসে ২৯ এপ্রিল বিকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বিএনপির বাকি চার সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেন।

বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময়সীমার মধ্যে শপথ না নেয়ায় পরদিন ৩০ এপ্রিল তার সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত