সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জুন, ২০১৯ ০১:১৩

ঈদের দিন বৃষ্টির আভাস

ফাইল ছবি

পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার যে বৃষ্টি চলছে, তা আরও পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঈদের দিন সকালেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নওগাঁর বদলগাছীতে দেশের সর্বোচ্চ ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। রোববার সিলেটেও হালকা বৃষ্টি হয়েছে।

আগের দিনও রাজশাহী-খুলনা ছাড়া দেশের অন্য বিভাগগুলোতে বৃষ্টি ছিল। ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিমিটার, ঢাকায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

মে মাসের শেষ থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে বয়ে চলা মৃদু তাপপ্রবাহ শনিবারের ওই বৃষ্টিতেই মোটামুটি কেটে যায়।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক রোববার বলেন, “দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে। ইতোমধ্যে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্নস্থানে। এটা টানা ৬-৭ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।”

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে বাংলাদেশে। সেক্ষেত্রে এবার ঈদের দিন সকালেও দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টির আভাস রয়েছে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।

উত্তরে বন্যার শঙ্কা

আবহাওয়া অধিপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, জুন মাসের প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বিস্তার লাভ করতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে দুটি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

“মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।”

২৭ এপ্রিল সাগরে ঘূর্ণিঝড় ফণী সৃষ্টি হয়। ৩০ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল রূপ নেয়। ৩ মে তা উড়িষ্যা উপকূল ও ৪ মে সকালে বাংলাদেশ অতিক্রম করে। এর প্রভাবে কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হয়।

পরে ১-২ মে, ৬-১৪ মে, ১৬-২২ মে এবং ২৬-২৯ মে দেশের বিভিন্নস্থানে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ১০ ও ১১ মে মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত