সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জুন, ২০১৯ ১৭:৫৫

হাই কোর্টের পাশ থেকে ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ জুন) হাই কোর্টের পাশ থেকে শাহবাগ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। থানায় অভিযোগ করতে আসা ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেন ওসি মোয়াজ্জেম। এ ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর গ্রেপ্তার হলেন তিনি।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে লুকোচুরির পর ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে গেছেন বলেন সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। তবে ওসি মোয়াজ্জেম দ্রুতই গ্রেপ্তার হবেন বলে পুলিশ ও সরকারের উর্ধ্বতনরা বলে আসছিলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর দুই দিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। তখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলেছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।

পুলিশের এই গড়িমসির সুযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন সটকে পড়েছেন। এর আগে তাঁর মুঠোফোনটি সচল থাকলেও এক পর্যায়ে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত