সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ আগস্ট, ২০১৫ ১৭:০০

প্রবীর সিকদারের মুক্তি দাবি করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়- ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনার স্বপক্ষের অকুতোভয় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে যেভাবে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে কারাগারে প্রেরণ করেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।

প্রবীর সিকদারের সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন কর্মের দিক উল্লেখ করে বলা হয়- ‘দৈনিক জনকণ্ঠে ’৭১-এর ঘাতক-দালাল-যুদ্ধাপরাধীদের দুষ্কর্ম প্রকাশের কারণে ২০০১ সালের ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের রাজাকাররা তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে পা কেটে দেয়। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ প্রবীর সিকদার পঙ্গুত্ব বরণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবিরাম লিখে চলেছেন।

"১/১১-এর ছদ্ম সামরিক শাসনকালে যখন আওয়ামী লীগের বহু নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, প্রবীর তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে ‘আমার বোন শেখ হাসিনা’ লিখে নেত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছিলেন।"

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার একজন বিতর্কিত মন্ত্রীর সমালোচনার জন্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান সাংবাদিক প্রবীরকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যে কোনও মানুষকে তা ক্ষুব্ধ করবে।

‘প্রবীর সিকদার যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কোনও অপরাধ করে থাকেন, তার জন্য মামলা হতে পারে। যে বিষয় নিয়ে তিনি লিখেছেন সে বিষয়ে তদন্ত করা উচিৎ। কারা কোন উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারের প্রতিপক্ষ বানাতে চাইছে সে বিষয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এহেন অপব্যবহার এ ক্ষেত্রে সরকারের অর্জনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে”।

বিবৃতিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে বলা হয়- আমরা মনে করি বিরুদ্ধে লেখার জন্য মন্ত্রীর যতটুকু মানহানি হয়েছে পঙ্গু সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারে সরকারের ভাবমূর্তি তার চেয়ে বেশি ক্ষুন্ন হয়েছে, যা ’৭১-এর রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সমূহ উল্লাসের কারণ হবে। আমরা অবিলম্বে প্রবীর সিকদারের মুক্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মূল ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, নির্বাহী সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, সহ সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, ভাষ্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, চলচ্চিত্রনির্মাতা শামীম আখতার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত