সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৫ ০০:৪৭

জঙ্গি অর্থায়নে অভিযুক্ত ৩ আইনজীবি রিমান্ডে

আইনজীবিদের জঙ্গি সম্পৃক্তরা উদ্বেগজনক বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে আটক ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীর ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে আইনজিবিদের জঙ্গি সম্পৃক্ততায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জঙ্গি সংগঠন হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা হলেন শাকিলা ফারজানা, মো. হাসানুজ্জামান লিটন এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মাহফুজ চৌধুরী বাপন।

ব্যারিস্টার শাকিলা বিএনপির সাবেক হুইপ, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে।

শহীদ হামজা ব্রিগেড নামের একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র কেনার জন্য এক কোটি ৮ লাখ টাকা দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

জঙ্গি অর্থায়নে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেন- “এটা কি আমাদের জন্য একটা অশনি সংকেত না,” বুধবার খবরটি প্রকাশের পর এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই প্রশ্ন রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

যেখানে এক সময় জঙ্গিদের হামলার প্রথম লক্ষ্যবস্তু ছিল আদালতগুলো, সেখানে জঙ্গিদের অর্থায়নে আইনজীবীর জড়িত থাকার অভিযোগ এটাই প্রথম বলে উল্লেখ করেন মাহবুবে আলম।

“এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়,” সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বলেন তিনি।

“আমরা আইনজীবীরা কোনোদিনই চরমপন্থায় ছিলাম না। আমরা কোনোদিনই চরমপন্থা বা টেরোরিস্টের দিকে যাইনি। এটি এখন নতুনভাবে একটি জিনিস দেখা যাচ্ছে।”

তবে তদন্তাধীন বিষয় বলে এ নিয়ে ‘চূড়ান্ত’ কোনো কথা বলেননি অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিন আইনজীবিকে নেওয়ার আগে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে র‍্যাবের-৭ এর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে নতুন জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের খোঁজ পাওয়া যায়। জঙ্গি সংগঠটির তিনটি সামরিক উইং আছে। এগুলো হলো গ্রিন, ব্লু এবং হোয়াইট। প্রত্যেক উইংয়ে সাতজন করে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য রয়েছে।

তাদের কীভাবে গ্রেফতার করা হলো- এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এর আগে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তাদের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই তিন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব ৭ এর সিও লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ বছর বছর ১৯ শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল মাদ্রাসাতুল আবু বক্কর নামের একটি মাদ্রাসায়, ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর পাহাড়ে সামারিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং ২৮ শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হালিশহরে ৩ দফা অভিযান চালিয়ে ২৫ টি দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা বারুদ, বিপুল সংখ্যক তাজা বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ শহীদ হাজমা ব্রিগ্রেড মোট ২৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ২৮ জনই ১৬৪ ধারা জবান বন্দি দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য লক্ষ্য এবং তাদরে দেশি-বিদেশি টাকার যোগানদাতার নাম উল্লেখ করেছে বলে জানান কর্নেল মিফতা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত