সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৫ ১২:৪৩

প্রবীর ভুল বুঝেছে, তিনদিনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে: খন্দকার মোশাররফ

তিনদিনের মধ্যে প্রবীর সিকদারের ঘটনায় সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সাংবাদিক নেতাদের তিনি জানিয়েছেন, যার জমি বিক্রির খবর নিয়ে এতোকিছু ঘটে গেলো, তিনি ২২ আগস্ট ভারত থেকে ফিরলেই সবকিছু স্পষ্ট হবে।

প্রবীর সিকদার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মন্ত্রী বলেন, প্রবীর সিকদারের সঙ্গে তার বা তার পরিবারের কোনো সমস্যা বা দ্বন্দ্ব নেই।

‘সিকদাররা ফরিদপুরে আমাদের চেয়েও বড় জমিদার। আর তার সঙ্গে আমার বা আমাদের কোনো সমস্যা নেই। একজনের জমি বিক্রির বিষয় নিয়ে সংবাদকে কেন্দ্র করে হয়তো প্রবীর ভুল বুঝেছে। ওই লোক (জমি বিক্রেতা) বড় মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এখন ভারতে আছে। ২২ তারিখ ফিরলেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে,’ বলে তিনি সাংবাদিক নেতাদের কাছে আশা প্রকাশ করেন।

তখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জমি বিক্রি নিয়ে খবর প্রচার করলেও কোনো সাংবাদিক তার কাছে কিছু জানতে চাননি।

তবে সাংবাদিক নেতারা তাকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছেন বলে কিছু গণমাধ্যমে যে খবর প্রচার হয়েছে তা নাকচ করে বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, যেহেতু এলজিআরডি মন্ত্রীর পক্ষে মামলা হয়েছে ‍তাই প্রবীর গ্রেপ্তার হওয়ার পরই আমরা তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাই। দুঃখের বিষয় আমরা সেটা পেয়েছি প্রবীর জামিন পেয়ে যাওয়ার পর।

‘তবে মন্ত্রীর পক্ষে এখনও অনেক কিছু করার আছে,’ জানিয়ে তিনি বলেন: আমরা তাকে বলেছি, শুধু জামিন পেলেই তো হবে না। মামলাটিও প্রত্যাহার করাতে হবে।

‘অামরা মামলাটি তুলে নেওয়ার কথা বললে মন্ত্রী বলেন, আইসিটি আইনে মামলা করে সরকার। তখন আমরা বলেছি, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। আপনিও আপনার দিক থেকে যা করার তা করুন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন,’ বলে জানান বিএফইউজে সভাপতি।

দুইদিনের চেষ্টায় এলজিআরডিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রবীর সিকদারের ওপর পুলিশের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

‘কারে‍া সঙ্গেই পুলিশের অন্যায় আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তার উপর প্রবীরের একটি পা নেই। তিনি একজন সাংবাদিক। তার সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন,’ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানেও তারা মামলা প্রত্যাহার এবং আইসিটি আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের আহবান জানান।

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমরা বলেছি, ২০১৩ সালে আইসিটি আইন হওয়ার সময়ই কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এই আইনের অপপ্রয়োগ হওয়ার আশংকা আছে। আমরা আবারও অামাদের উদ্বেগের কথা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। সূত্র : চ্যানেল আই অনলইন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত