সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুলাই, ২০১৯ ১২:৫৫

ঢাকায় নদ-নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ফের বাধা

ঢাকার চারপাশের নদ–নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকায় আবার বাধার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ এলাকায় অভিযান শুরু করার পর হামলা চালায় দখলদারেরা।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দীনসহ অন্তত ছয়জনের ওপর হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশি পাহারায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরুর আগেই স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদ ওরফে রিপন তাঁর কয়েক শত অনুসারীকে নিয়ে শ্মশানঘাট এলাকায় অবস্থান নেন। অভিযান শুরুর পরপরই কর্মকর্তাদের ওপর তাঁরা চড়াও হন। একপর্যায়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন।

এ সময় অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। হামলার সময় পুলিশ সদস্যদের নির্লিপ্ত থাকতে দেখা যায়। অবশ্য পরে ওই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পুলিশি পাহারায় এখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

নির্বাহী হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান বেলা ১১টার দিকে জানান, ২৯ জানুয়ারি থেকে ঢাকার চারপাশের নদ–নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছি আমরা। আজ এই অভিযান কার্যক্রমের ৪২ দিন। কোনো দখলদার এমন উদ্ধত আচরণ করেননি। গতকাল ও আজ এমন বাধার মুখে পড়লাম আমরা। তবে মূল হোতা পালিয়ে গেছেন। তাঁর সহযোগী তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদ নদী ভরাট করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছেন। বুধবার বিকেলে বালুর ওই গদি অপসারণ করতে গেলে বিআইডব্লিউটিএকে বাধা দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিএ বলছে, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট ও এর আশপাশের এলাকায় শুল্ক আদায় ও মালামাল ওঠানো-নামানোর জন্য স্থানীয় ইকবাল আহমেদকে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ইকবাল স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদের ছোট ভাই। এর আগেও ইকবাল আহমেদের বাধার কারণে সেখানে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।

অভিযান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করেন, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে অভিযান চালাতে গেলে দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন ইব্রাহিম ও তাঁর অনুসারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা বিআইডব্লিউটিএর দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ইব্রাহিম আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত