সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৯ ১৭:৪৭

এরশাদের জন্য রংপুরে খোঁড়া হচ্ছে কবর, লাশ আটকে দেওয়ার ঘোষণা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন রংপুরে করার লক্ষ্যে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে এরশাদের পল্লীনিবাস বাসভবন সংলগ্ন লিচু বাগানে এরশাদের কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এর আগে রাজধানীর সামরিক কবরস্থানে সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানের দাফনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রংপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ লাশ আটকে দেবার ঘোষণা দেন উত্তরবঙ্গ জাতীয় পার্টি (রংপুর ও রাজশাহী)। যেকোনো মূল্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন রংপুরেই করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ‘প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও এরশাদের মরদেহ রংপুর থেকে নিয়ে যেতে দেয়া হবে না।’

নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মেয়র মোস্তফা বলেন, জীবদ্দশায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কোনোদিন ভালোভাবে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি। মৃত্যুর পরও তাকে এবং তার দলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে তাকে বিচ্ছিন্নসহ দলকে নিশ্চিহ্ন করতে সামরিক কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতি বিজরিত রংপুর নগরীর দর্শনামোড়ের পল্লীনিবাসেই তার অসিয়তকৃত জায়গায় দাফন করা হোক। যদি তা না হয়, তাহলে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় পার্টি প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মরদেহ রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় তিন নেতার সমাধির পাশে দাফন হলে কিংবা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে জাতীয় নেতার স্বীকৃতি দিলে আমাদের আপত্তি থাকতো না। অথচ এসব না করে একটা আবদ্ধ জায়গায় দাফনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গভীর যড়যন্ত্রেরই অংশ।

সভায় সাবেক সংসদ সদস্য শাহানারা বেগম, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, গাইবান্ধা জেলা জাপার আহ্বায়ক আব্দুর রশীদ সরকারসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আজ রবিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

আগামী মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টার যোগে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির মরদেহ রংপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ আবার হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে এসে বাদ জোহর সামরিক কবরস্থানে কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত