সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৯ ১৯:০৪

দুধে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই: কৃষিমন্ত্রী

দেশে উৎপাদিত পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু, সালফা ড্রাগ ও এন্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিটের করা এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দুধে এন্টিবায়োটিক ও ভারী ধাতুর মতো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদানের অস্তিত্ব নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজেদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিএআরসি।

তিনি বলেন, ‘মোট ১৬টি নমুনার মধ্যে মিল্কভিটায় সহনীয় মাত্রায় ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে স্ট্রেপ্টোমাইসিন ও প্রাণের দুধে সহনীয় মাত্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৬ মাইক্রোগ্রাম ক্লোরামফেনিকল পাওয়া গেছে। অন্য কোনও দুধেই অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ভারতের চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এসজিএস (এক্রিডিটেট ) ল্যাবরেটরি থেকে দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।’

এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পাওয়ার কথা বলা হয়। গত ২০ জুলাই পাস্তুরিত দুধ প্রস্ততকারক কোম্পানিকে দুধের মান বাড়াতে পরামর্শ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণালব্ধ ফল বিশ্লেষণে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশীয় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত দুধে কোনও প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ নেই।তিনি বলেন,‘জনমনে অস্থিরতা দূর করতে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগের মতো ভারী ধাতুর অবশিষ্টাংশের উপস্থিতি বিশ্লেষণের জন্য পুষ্টি ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল উদ্যোগ নেয়।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মিল্কভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেস, ইগলু, আরডি, সাভার ডেইরি, প্রাণ দুধ ও অপাস্তুরিত দুধের ১৬টি নমুনা সংগ্রহ করে তাতে কোনও প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক আছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়। বাজারজাত করা পাস্তুরিত দুধ রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গুলশান ও ফার্মগেট এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অপাস্তুরিত দুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সাভারের রাজাসন খামারিদের কাছ থেকে।’

মিল্কভিটায় সহনীয় মাত্রায় ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে স্ট্রেপ্টোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘স্ট্রেপ্টোমাইসিনের সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে ২০০ মাইক্রোগ্রাম। আর প্রাণ কোম্পানির প্রাণ দুধে শূন্য দশমিক শূন্য ৬ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া গেছে। দুধের ক্ষেত্রে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রকার কিছু মাত্রা পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্লেষণ করা নমুনায় কোনও প্রকার অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।’ খাদ্য বিষয়ক যে কোনও ধরনের আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষা ও ফল প্রাপ্তির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মানসম্পন্ন এক্রিডিটেট ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি বলেও কৃষিমন্ত্রী মনে করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত