সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ আগস্ট, ২০১৯ ০১:৫৩

ফগার মেশিনে এডিস মারা কেবলই ‘মিথ’: হু

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ বি এন নাগপাল বলেছেন, ফগার মেশিনে রাস্তা বা উন্মুক্ত জায়গায় কীটনাশক ছিটিয়ে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা মারার আশা কেবলই ‘মিথ’।

তিনি বলেন, ফগারের মাধ্যমে যে ওষুধ ছিটানো হয়, তাতে ৯৫ শতাংশ ডিজেল বা কেরোসিন থাকে। শ্বাসের সঙ্গে তা আমরা টেনে নিচ্ছি, তাতে শ্বাসতন্ত্র আর হৃদযন্ত্রের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে ডব্লিউএইচও ফগিংয়ের পরামর্শ আর দেয় না।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব জানান।

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং সকাল-সন্ধ্যা অ্যারোসল স্প্রে করুন, কারণ এডিস মশা ওখানেই থাকে।

মশা নিয়ে ৪০ বছর ধরে গবেষণা করা বি এন নাগপাল এডিস মশা মারতে ফগিং মেশিনের প্রয়োগ পদ্ধতি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সবার আগে এ মশার প্রজননস্থল শনাক্ত ও ধ্বংস করার দিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, এডিস মশা পানির উপরিতলে এমনভাবে ডিম ছাড়ে, যাতে সেগুলো বছরজুড়ে টিকে থাকতে পারে। যখন পাত্র ভরে পানি উপচে পড়ে, তখন সেই ডিম থেকে লার্ভা জন্ম নেয়।

ড. নাগপাল বলেন, এ মশা দেয়ালে না বসে টেবিল, বিছানা, সোফা, পর্দা ও ঝুলন্ত কাপড়ের নিচে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে। তাই এসব জায়গায় অ্যারোসল স্প্রে করতে হবে।

তিনি বলন, কিন্তু এ মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করাটাই আসল। সাধারণ মানুষের কাছে একটা সহজ বার্তা আমাদের পৌঁছে দিতে হবে। তা হলো আপনার বাড়ি সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টা পরিষ্কার করুন।

সবাই যদি ঠিকঠাক নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে তাহলে দশ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মত দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, একেক ধরনের মশার বংশবৃদ্ধি আর টিকে থাকার পদ্ধতি একেক রকম। সুতরাং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ভিন্নভাবে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে। সুতরাং ডেঙ্গুর সব প্রজননস্থল আমাদের ধ্বংস করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত