সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যানজটে আটকা পড়ে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে মহাসড়কে সময় পার করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

রোববার (১১ আগস্ট) বেলা সোয়া চারটা পর্যন্ত এ সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ছিল।

পুলিশ জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে পারছে না। এ কারণে যানজট সেতুর এপার টোল প্লাজা পর্যন্ত এসে যায়। তখন টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা এভাবে টোল আদায় বন্ধ রাখায় সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচবার টোল আদায় বন্ধ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর উপরে বেশ কয়েকটি লক্করঝক্কর মার্কা গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের সিরাজগঞ্জের অংশ গাড়ি টানতে না পারায় টোল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। আর এতেই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়কের সল্লা, কালিহাতী উপজেলার পৌলী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর, টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের ঘারিন্দা এলাকায় রাস্তায় আগুন জ্বেলে যাত্রীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

যাত্রীরা জানান, একই জায়গায় তিন থেকে চার ঘণ্টা ধরে তাঁদের গাড়ি থেমে আছে। একটুও এগোতে পারছে না। তাই অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন।

ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি লালমনিরহাটে ফিরছেন আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে শনিবার রাত ১০টায় রওনা হয়ে চন্দ্রা পার হওয়ার পর থেকেই যানজটে পড়ছেন। নয় ঘণ্টায় টাঙ্গাইল বাইপাস পর্যন্ত এসে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন একই জায়গায়।

বগুড়ার বাসিন্দা শরিফুল হক বলেন, প্রতিবছর ঈদের সময় এ সড়কে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কেন যানজট নিরসনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয় না। রাজশাহীর জাহাঙ্গীর আলম জানান, যানজটের কারণে ঈদের আনন্দই নষ্ট হয়ে যায়।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, সিরাজগঞ্জের নলকা সেতু, হাটিকুমরুল ও কড্ডা মোড়ে গিয়ে গাড়িগুলোর জট লেগে যায়। এ কারণে পেছন দিক থেকে কোনো গাড়ি আর সামনে যেতে না পারায় গাড়ির লাইন সেতু পার হয়ে পূর্ব প্রান্তে এসে যায়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত