সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৯ ১৫:৩৩

হলি আর্টিজানে হামলা: সাক্ষ্য দিলেন চিকিৎসকসহ ১০ জন

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চারজন চিকিৎসকসহ মোট ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।

মঙ্গলবার যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন—ডা. মাসুম বিল্লাহ, ডা. আমিনুল হাসান, ডা. এরশাদুল্লাহ, ডা. একেএম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিআইডির পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন, মাসুদ সিদ্দিক ও শেখ নজরুল ইসলাম, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাত্তার ও আবু তাহের ফারুকী এবং সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রুহুল আহমেদ এ তথ্য জানান। এ পর্যন্ত ৯৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

এ মামলার ২১ জন আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

অভিযোগপত্রে জীবিত ৮ আসামি হলেন— হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আবদুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। বর্তমানে সব আসামি কারাগারে রয়েছে।

মামলার পাঁচ আসামি ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তারা হলো—রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

এছাড়া, বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলেন তামিম চৌধুরী, নূরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে ওই রেস্তোরাঁয় যৌথবাহিনীর অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত