দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য চলতি বছরে আরও ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দেশে মোট ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এটি ছিলো যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনার প্রথম সভা। মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

আড়াই সপ্তাহব্যাপী এ পর্যালোচনা সভার শেষ দিন ছিলো এদিন।

সভায় জানানো হয় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ২০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

পাঁচটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি),  জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিশ্বব্যাংক এই কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) কর্মসূচিতে পূর্ত, অবকাঠামো ও প্রকৌশলগত সহযোগিতা করছে।

প্রতিটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় গত এক বছরে প্রকল্পের আওতায় নেয়া কাজগুলোর পর্যালোচনা হয়। এতে খাতওয়ারি পর্যালোচনা, অর্ধবার্ষিক পর্যালোচনা, অডিট ও অ্যাকাউন্টস পর্যালোচনা এবং পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।

কর্মসূচির অধীনে ২০১৯-২০ অর্থবছর ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি ও চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়। বলা হয় এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সভায় দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৩টি বিদ্যালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষসমূহে ২৬ হাজার আইসিটি প্যাকেজ বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার যৌথসভার সমাপনী পর্বে দেওয়া বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সব প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান।