সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৬:১৪

মাসুদা ভাট্টির মামলায় কারাগারে ব্যারিস্টার মইনুল

মানহানির অভিযোগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।

আদালত সূত্র জানায়, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাই কোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। এরপর চলতি বছরের ১২ মে সিএমএম আদালত তাকে জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২১ আগস্ট ব্যারিস্টার মইনুলকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী সাংবাদিকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সৌদি সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মইনুলের সমালোচনা করেন।

ব্যারিস্টার মঈনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ওই প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয় মইনুলের নামে।

পরে কুমিল্লা, কুড়িগ্রামে ও বিভিন্ন জেলায় মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় পাঁচ মাসের ও কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল।

রংপুরে দায়ের করা মামলায় ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৫ মামলায় জামিন পাওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি কারামুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত