সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:৪৭

১০ দিনের রিমান্ডে জি কে শামীম

অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

দুই মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তার। এছাড়া শামীমের সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

দেহরক্ষীরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

পুলিশের আবেদনে ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শনিবার শামীম ও তার দেহরক্ষীদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান।

যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

শুক্রবার গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। তখন শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানের মধ্যে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি যুবলীগ পরিচয় ব্যবহার করলেও যুবলীগের শীর্ষনেতাদের দাবি, শামীম সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না।

‌র‌্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয় ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ এখন শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

শনিবার দুপুরের পর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে মাদক আইন, অস্ত্র আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা দেওয়া হয়।

সন্ধ্যার পর শামীম ও তার দেহরক্ষীদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শামীমের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা আক্তার জামিন নাকচ করে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত