সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮:২৩

আবরারের গ্রামে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে বুয়েট ভিসি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এ সময় গ্রামবাসীকে সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর অবস্থা বেগতিক দেখে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে পাহারা দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা এবং আবরারের কবর জিয়ারত করতে বিকেল সোয়া চারটার দিকে উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে আসেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভিসির গাড়িবহর আবরারের কবরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে। এ সময় গ্রামবাসীর বাধা সরিয়ে ভিসিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজসহ পাঁচজন আহত হয়।

এদিকে, অবস্থা বেগতিক দেখে কবর জিয়ারত না করেই পেছনের দিকে সরে যায় পুলিশ ও ভিসির গাড়ি বহর। সেই সঙ্গে পুলিশি পাহারায় ভিসিকে ওই গ্রাম থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশের গাড়ি ও ভিসির গাড়ি বহর শহরের দিকে চলে যায়।

বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে আবরারের কবর জিয়ারত করতে রায়ডাঙ্গায় যান উপাচার্য।

এরপর বিকেলে আবরারের মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে দেখা করার জন্য রওনা দেন উপাচার্য। একই সড়কের পাশে আবরারের কবর ও পৈতৃক ভিটা। কুমারখালী থেকে যেতে প্রথমে কবরস্থান পড়ে। পরে আধা কিলোমিটারের মাথায় ওই বাড়ি। কিন্তু উপাচার্যের যাওয়ার কথা শুনে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ আবরারদের গ্রামের বাড়ির সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপাচার্যকে ঘিরে থাকতে দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা না করে উপাচার্য পুলিশ প্রহরায় জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে রায়ডাঙ্গা গ্রাম ছেড়ে যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত