সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ১৬:৪৮

ক্ষুধা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশ দুই ধাপ পেছালেও ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের (জিএইচআই) ১১৭টি দেশের মধ্যে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮। ভারত রয়েছে ১০২ নম্বরে, পাকিস্তান ৯৪।

দেশে দেশে কত মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে কিংবা অপুষ্টিতে ভোগে তার বিবেচনায় এই তালিকা করে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। তাদের সঙ্গে কাজ করে গরিব মানুষদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এবং জার্মানির বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েল্ট হাঙ্গার হেলফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে এমন ৪৫টি দেশ আছে ক্ষুধা মোকাবিলা যাদের কাছে রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১৭টি দেশের ওপর করা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে বলা হয়েছে, ভারত বর্তমানে অবস্থান করছে ১০২ নম্বরে।

ওই সূচকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে ক্ষুধা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সূচকে বাংলাদেশের অর্জন ২৫ দশমিক ৮ পয়েন্ট। এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশের এই স্কোর ছিল ৩০ দশমিক ৩। ১০০ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে যে দেশ শূন্য স্কোর করে সেই দেশকে সবচেয়ে উত্তম দেশ ধরা হয়। অর্থাৎ সেই দেশে কোনো ক্ষুধার্ত মানুষের বসবাস নেই। আর ১০০ স্কোর করে যে দেশ সেই দেশ সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। অর্থাৎ সেই দেশে ক্ষুধার্ত মানুষের অবস্থা ভয়াবহ।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচক অনুসারে যে ১০০ পয়েন্টের এক ‘তীব্রতা স্কেল’ রয়েছে, যেখানে শূন্য হলো সেরা স্কোর। শূন্য অর্থে, সে দেশে কোনো মানুষ অনাহারে নেই। এই তালিকা থেকে জানা যায়, ভারতের স্কোর ৩০ দশমিক ৩। জানানো হয়েছে, ভারতে এই অনাহারের সমস্যা বেশ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২০১৪ সালে ভারত তালিকায় ছিল ৫৫ নম্বরে। এবার নেমে ১০২ নম্বরে এসেছে দেশটি।

ভারতে এই অনাহারের সমস্যা বেশ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে ৭৬টি দেশের মধ্যে ভারত ৫৫ নম্বরে ছিল। এবার নেমে ১০২ নম্বরে এসেছে দেশটি। ২০১৭ সালে ১১৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ১০০। ২০১৮ সালে ১১৯টি দেশের মধ্যে ১০৩। এবার ১১৭টি দেশের তালিকায় ভারত ১০২ নম্বরে।

জিএইচআই সূচক চারটি সূচককে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। তা হলো অপুষ্টি, শিশু মৃত্যু, শিশুদের অপচয় এবং শিশুদের বাড়তে না দেওয়া। এর মধ্যে শিশুদের অপচয় বলতে বোঝানো হয়েছে ৫ বছর বয়সের নিচের শিশুদের, যারা তাদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজনসম্পন্ন। এতে প্রচণ্ড অপুষ্টিতে ভোগা বোঝানো হয়।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহৎ জনসংখ্যার কারণে ভারতের জিএইচআই ওই অঞ্চলের ওপরে প্রভাব ফেলে। ভারতে ‘চাইল্ড ওয়েস্টিং রেট’ অর্থাৎ পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যু বা শিশুদের অপুষ্টিজনিত দৈহিক উচ্চতা ও ওজন হ্রাসের হিসাব ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। সারা বিশ্বের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ক্যালরির অভাব এবং কম পুষ্টির দিকটি এর থেকে উঠে আসে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত