সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:২৯

গ্রামীণফোন ও রবিতে শীঘ্রই সরকারি প্রশাসক

প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক বসানোর অনুমোদন দিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুতই শুরু হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া। তবে আবারও বিটিআরসির পাওনা দাবিকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে দুই অপারেটর।

চলতি বছরের এপ্রিলে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা দাবি পরিশোধে গ্রামীণফোন ও রবিকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। এরপর নানা দেনদরবার, অপারেটর দুটির ব্যাখ্যা, আলোচনার পর কোনো সুরাহা না হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রথমে এনওসি বন্ধ এবং তারপর লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেয়া হয়।

এরপর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সমস্যা সমাধানে তিন সপ্তাহ সময় বেধে দেন। কয়েক দফায় বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, শুরুতে টোকেন মানি হিসেবে গ্রামীণফোন দেবে ২০০ কোটি টাকা আর রবি দেবে ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধের পর নিরীক্ষক ডেকে সমঝোতায় যাওয়া হবে। তবে এতে রাজি হয়নি রবি কিংবা গ্রামীণফোন কেউই। এ অবস্থায় প্রশাসক নিয়োগের কাজ চূড়ান্ত করছে বিটিআরসি।

বিআরটিসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আইনের যা প্রক্রিয়া তা আমরা করেছি সরকার এখন অনুমোদন দেবে। সরকার অনুমোদন দেওয়ার পরে প্রশাসন নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা লোক খুঁজবো। আমরা নিরপেক্ষ, সৎ, অভিজ্ঞ, যিনি এই সেক্টর ভালো বুঝবে এমন লোক আমরা খুঁজবো।

বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছে রবি ও গ্রামীণফোন। বিটিআরসির পাওনা দাবির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলছে রবি। গ্রামীণফোন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে এখনো আশাবাদী তারা।

যদিও বিটিআরসি বলছে, দুই অপারেটরের অভ্যন্তরীণ কোন কাজে হস্তক্ষেপ করবে না সরকারের নিয়োগ দেয়া প্রশাসক। তারা শুধু সরকারের পাওনা পরিশোধ করবে। টাকা পরিশোধের পর আবারো উঠিয়ে নেয়া হবে প্রশাসক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত