সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ অক্টোবর, ২০১৯ ১৭:৪৬

জিজ্ঞাসাবাদের পর কারা উপ-মহাপরিদর্শককে গ্রেপ্তার

কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন, সদর দপ্তর) বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, দুপুরে কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলাও করা হয়েছে।

এরআগে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ তথা ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য ফাঁস হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। ঘুষের টাকা লেনদেন করতে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদ প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে স্ত্রীর নামে মোবাইল ফোনের সিম তোলেন। সরাসরি টাকা না পাঠিয়ে ঘুষ চ্যানেলের সোর্স ব্যবহার করেন তিনি।

ঘুষের বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করলেও তার স্ত্রীর কাছে পাঠানো টাকার একাধিক মানি রিসিটের কপি দেখালে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ অপরাধ মেনে নেন। এর মধ্যে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ঘুষের টাকা কুরিয়ার করার ২৪টি রসিদের কথা উল্লেখ করা হয়। এসব রসিদে অঙ্কের যোগফল প্রায় কোটি টাকা।

ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার। ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা।

দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসতো রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। সে প্রেক্ষিতে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত