নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:১৪

পাঁচদিনে সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন ৪২১ জন

ফাইল ছবি

সৌদি‌ আরব থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৯৬ জন বাংলাদেশি। এ নিয়ে চলতি মাসে পাঁচদিনে মোট ৪২১ জন ফিরলেন।

বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৪ বিমানযোগে তারা দেশে আসেন।

১ নভেম্বর ১০৪ জন, ২ নভেম্বর ৭৫ জন, ৩ নভেম্বর ৮৫ জন, ৪ নভেম্বর ৬১ জন ও ৬ নভেম্বর ৯৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের দশ মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২০ হাজার ৬শ ৯২ জন বাংলাদেশি।

বুধবার ফেরত আসাদেরও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ী পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

সৌদি থেকে ফেরা কিশোরগঞ্জের তোফাজ্জল জানান, মাত্র আড়াই মাস আগে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই তাকে ফিরতে হলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিউদ্দিন জানান, তিনি তিন বছর ধরে ছিলেন সৌদি আরবে। সাড়ে ১৮ হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা নবায়ন করেছিলেন। কিন্তু তাকে এখন ধরপাকড়ে পড়ে ফেরত আসতে হলো শূন্য হাতে।

গাজীপুরের মো. হান্নান মিয়া জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে। বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও সৌদি পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে ধরে। আকামা দেখানোর পরেও তাকে ছাড়া হয়নি।

নোয়াখালীর জয়নাল, ময়মনসিংহের আলম, জামালপুরের সবুজ মিয়া, বরিশালের মামুনসহ আরও অনেকেই এভাবে তাদের দুরবস্থার কথা জানান।

ফিরবেন তিন নারী: সৌদি আরবে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার তিন নারী আজ দেশে ফিরবেন। পরিবারের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল ব্র্যাক।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তারা ঢাকা ফিরবেন। তারা হলেন- শাহিদা, মনোয়ারা, মিনা।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছ‌র এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার বাংলা‌দে‌শি‌কে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ‌এ বছরের কোন মাসে কত কর্মী ফিরেছে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি গত দুই মাস ধরে ধরপাকড়ের তীব্রতা বেড়েছ। অনেকেই মনে করেন আকামা থাকলেই বৈধ। কিন্তু কেউ যদি বৈধ আকামা থাকার পরেও যেখানে কাজ করার কথা সেখানে না করে অন্য জায়গায় কাজ করেন সৌদি আইন অনুযায়ী সেটাও অপরাধ। এই বিষয়গুলো কর্মীদের বোঝাতে হবে। আর রিক্রুটিং এজেন্সিকেও নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনও একজন কর্মী যেখানে যান, সেখানে গিয়ে সেই কাজ পান। ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত