১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ১৪:৪৫
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারসাজির সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষমতাসীন দলের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ মনে করে পেঁয়াজ নিয়ে যে সিন্ডিকেট লুটতরাজ করছে, তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি সরাসরি জড়িত।’
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন রিজভী। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটির আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের কেজি দেড় শতকের পর ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়ে গেছে। সর্বশেষ গতকাল যোগ হয়েছে আরও ৪০ টাকা। ২৪০ টাকা ছাড়িয়েও থামেনি দাম। দাম আর কত বাড়বে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। বরং সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী যেদিন বললেন, ‘‘বাজার নিয়ন্ত্রণে’’। তার পর দিনই এক লাফে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে যায় কেজিতে।’
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে গেছে। তাদের বক্তব্য সিন্ডিকেটকে উস্কে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে আছে, তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে এভাবে লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন? রাজধানীর খুচরা বাজারে,পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২৪০ টাকা ছাড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে। অবিলম্বে আমরা ব্যর্থ মন্ত্রীদের পাশাপাশি সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই মিডনাইট সরকার গভীর নীলনকশা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার চাহিদামত চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ দিচ্ছে না। তার প্রাপ্য জামিনে সরাসরি বাধা দেওয়া হচ্ছে। নগ্নভাবে আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার জীবন এখন সংকটাপন্ন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের উদ্যোগে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
আপনার মন্তব্য