সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:২৯

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সময় নির্ধারণ করা খুব কঠিন’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাস্তচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সময় নির্ধারণ করা খুব কঠিন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ইউএনএইচসিআর’র উপ-হাইকমিশনার কেলি টি ক্লেমেন্টস এ কথা জানান।  

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারকে সমর্থনের লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশে চার দিনের সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে বাংলাদেশের অব্যাহত উদারতার প্রশংসা ও সংকট সমাধানে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সংহতিকে উৎসাহিত করেন।

এ সময় তিনি বলেন,  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ (রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার সহায়ক পরিবেশ কখন তৈরি হবে) নির্ধারণ করাটা খুবই কঠিন। এক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য অংশীদারি সংস্থার কাজ চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন তিনি, যাতে রোহিঙ্গাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়নে সহায়তা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিদ্রোহী গ্রুপের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তাদের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়। হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়ার অজুহাতে ২৪ আগস্ট রাতে  রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। চলে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ। এতে প্রাণ রক্ষায় দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখো রোহিঙ্গা।

মানবিকতার কারণে বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্তপথ খুলে দিয়ে নিপীড়িত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়। সীমান্তের দুই উপজেলার প্রায় ৮ হাজার একর পাহাড়ি বনভূমিতে আশ্রয়স্থল তৈরি করে ৩৩টি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে নতুন পুরনো প্রায় সোয়া ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চালানো হয়। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। গত বছরের শেষ সময়ে এবং চলতি বছরের শুরুতে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা দিলেও কথা রাখেনি মিয়ানমার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত