সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০১:৫৫

২ নভেম্বর দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

চিকিৎসার জন্যে লন্ডন যাওয়ার পর সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সাক্ষাত দিচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সাক্ষাতের সুযোগ না দিয়ে বরং দেশে ফিরে দলের জন্য তাদের কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তবে যাদের প্রয়োজন সেই নেতাদেরকে নিজেরাই ডেকে নিচ্ছেন।

এদিকে আগামী মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠেয় এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন তারেক রহমান।

এদিকে লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা শেষে ২ নভেম্বর বেগম জিয়ার ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের টিকিটও বুকিং দেয়া হয়েছে বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা জানান।

অন্য এক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য যাওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে লন্ডন যান তার দুই উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল আওয়াল মিন্টু। এ সময় মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়ালও সঙ্গে যান। মিন্টু গত সপ্তাহে দেশে ফিরলেও তাবিথ এখনো রয়ে গেছেন।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে গিয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাও বেশ কয়েকদিন লন্ডনে অবস্থান করে অনেক প্রচেষ্টার পরও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

অন্যদিকে চিকিৎসার্থে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া দলের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে সাক্ষাতের অনুমতি না দেয়ায় তিনি লন্ডন না গিয়ে সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফেরেন। দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনও বেশ কয়েকদিন লন্ডনে অবস্থান করে অনেক চেষ্টার পরও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তাকে দেশে গিয়ে কাজ করতে এবং সেখানেই চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী চেয়ারপারসনের সঙ্গে প্রায় একই সময়ে লন্ডন গিয়ে তার কিংবা তারেক রহমানের কারও দেখা পাননি। তবে তিনি এখনো আশাবাদী।

আইনজীবী ও দলের মানবাধিকারবিষয়ক একজন সম্পাদক সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও দেখা পাননি। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুলও গেছেন একই উদ্দেশে। কিন্তু তাকেও লন্ডনে সময় নষ্ট না করে দেশে ফিরে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে লন্ডনে ছেলের বাসভবনে ওঠার পর থেকে খালেদা জিয়ার সমস্ত দেখাশোনা করছেন তারেক রহমান। আর তার চিকিৎসার যাবতীয় তদারকি করছেন পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। তিন নাতনি আর স্বজনদের নিয়ে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। একচোখে অপারেশন সম্পন্ন হলেও আরেক চোখে বাকি রয়েছে। সেটিও করাতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

পরে পায়ের চিকিৎসাও করাতে পারেন খালেদা জিয়া। আর সাংগঠনিক সহ যাবতীয় কাজে তারেক রহমানকে সহযোগিতা করছেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ব্যারিস্টার সালাম, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত