সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ অক্টোবর, ২০১৫ ১২:১০

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) হাইকোর্টে এ নিয়ে রিট করে রাষ্ট্রপক্ষ। এই স্থগিত আবেদনের ওপর আগামী মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেয়া হয়।

আগামী মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে মোতাবেক আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।

১৮ অক্টোবর বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন। এ খারিজাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।

পরে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট পরবর্তীতে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।

পাশাপাশি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলে টাঙ্গাইল জেলার রিটার্নিং অফিসারের ১৩ আগস্ট ও নির্বাচন কমিশনের নেয়া ১৮ আগস্টের নেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

এছাড়াও আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি), প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইস), টাঙ্গাইলের জেলা রিটার্নিং কর্মকতা, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত