সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১২:০১

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার গ্যারান্টি সরকারকেই দিতে হবে: ন্যাপ

দলীয় প্রতীকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া আজ রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর আইন পাশের ১ দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে সারাদেশের ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন চরম হঠকারিতার  পরিচয় দিয়েছেন।

তারা বলেন "দলীয় ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করার আইন সংশোধনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের উচিৎ ছিল সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করা, কিন্তু কমিশন এর নূন্যতম   প্রয়োজনও বোধ করেনি। সংশোধিত পৌর আইন অনুযায়ী মেয়র পদে রাজনৈতিকভাবে প্রার্থীরা প্রতিদ্ধন্তিতা করবে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার পর এখন প্রস্তুতির সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি নির্বাচনের আয়োজন করা সরকারের কোন  দুরভিসন্ধি কি না তা নিয়ে দেশবাসীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধছে।"
 
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে নেতৃদ্বয় বলেন, "বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত ৫ জানুয়ারী ২০১৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং সর্বশেষ এ বছর অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। অতীতের এসব বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যদি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ঘটে তাহলে রাষ্ট্র ও জনগণের অর্থ ব্যয় করে নির্বাচনের নামে প্রহসনের কোনও প্রয়োজন নেই। অন্যান্য নির্বাচনের সময় প্রচারণার জন্য ২১ দিনসহ মনোনয়ন ফরম পূরণে যথেষ্ট সময় দেয়া হলেও এ নির্বাচনে অপ্রতুল সময় রাখা হয়েছে। মনোনয়ন ফরম বাছাইয়ের পর প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য সময় পাবেন মাত্র ১৪ দিন।"

তারা পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার গ্যারান্টি সরকারকেই দিতে হবে বলে মন্তব্য করে বলেছেন, উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার যেভাবে ভোট ডাকাতি করেছে সে ধরনের ডাকাতি যদি পৌরসভা নির্বাচনে করা হয় তাহলে তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। এবার কোন ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেশবাসী গ্রহণ করবে না। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তার গ্যারান্টি সরকারকেই দিতে হবে। পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।

তারা আরও উল্লেখ করেন, "বিগত দিনে যারা বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা জনগণকে পাশ কাটিয়ে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে আসন্ন পৌর নির্বাচন শেষ করতে চায়। দেশের সকল গণতান্ত্রিক মহলকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত